ইঙ্ক ট্যাঙ্ক প্রিন্টার
ইঙ্ক ট্যাঙ্ক প্রিন্টার
design of md jabbar |
পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটার প্রিন্টার ছিল ১৯'শতকের চার্লস ব্যবেজ কর্তৃক আবিষ্কৃত ডিফারেন্স ইঞ্জিনের জন্য যন্ত্রটি।[১] এই যন্ত্রটিতে লোহার রডে অক্ষর ছাপা থাকতো আর কাগজগুলো রডের নিচে রাখা হত। এভাবে ছাপার কাজ করা হত। প্রথম বাণিজ্যিক প্রিন্টারগুলো যেমন ইলেক্ট্রিক বং টেলিটাইপ মেশিন এই পদ্ধতিতে কাজ করত। দ্রুতগতির প্রিন্ট নেয়ার চাহিদা থেকে নতুন ধরনের পদ্ধতি আবিষ্কারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল, বিশেষ করে কম্পিউটারের সাথে ব্যবহারের জন্য। ১৯৮০ দশকে ব্যপকভাবে ব্যবহৃত যন্ত্রগুলো যেমন ডেইজি হুইল পদ্ধতির মিল ছিল টাইপরাইটারের সাথে। লাইন প্রিন্টার একই ধরনের আউটপুট দিত কিন্তু আরেকটু দ্রুত গতিতে। ডট মেট্রিক্স পদ্ধতি যাতে লেখা এবং গ্রাফ বা ছবি একত্রে প্রিন্ট করা যেত, কিন্তু তা নিম্ন মানের হত। ব্লুপ্রিন্টের মত উচ্চ মানের গ্রাফিক্সের জন্য প্লটার ব্যবহার করা হত।১৯৮৪ সালে কম খরচে প্রথম এইচপি লেজারজেট লেজার প্রিন্টার পরবর্তী বছর অ্যাপলের পোস্টস্ক্রিপ্ট লেজার রাইটারের মধ্যদিয়ে ডেস্কটপ প্রকাশনা মুদ্রণে বিপ্লব আসে।
১৯৯০ এবং ২০০০ দশকের সময়ে ইন্টারনেট ইমেইলের বিস্তার ও ব্যাপক ব্যবহার মুদ্রণের প্রয়োজনীয়তাকে ম্লান করে দেয়। বিভিন্ন ধরনের বহনযোগ্য সংরক্ষন ব্যবস্থার কারণে কাগজে মুদ্রিত লেখার প্রয়োজন কমার অন্য আরেকটি কারণ। এমনকি কাগজে মুদ্রিত লেখা যা অফলাইন (ইন্টারনেটে নয় এমন) পড়ার জন্য যেখানে ব্যবহার করা হত যেমন বিমানযাত্রা বা গণপরিবহনে সেখানেও এখন ট্যাবলেটের বহার করা হয়। আজকাল প্রিন্টারগুলো ব্যবহার করা হয় বিশেষ উদ্দেশ্যে যেমন ছবি বা শিল্পকর্ম প্রিন্ট করতে। আগের মত আবশ্যকীয় পেরিফেরাল হিসেবে এখন প্রিন্টার আর ব্যবহার করা হয় না।
২০১০ সালের থেকে ৩য় মাত্রার মুদ্রণে ব্যপক আগ্রহ দেখা গেছে যাতে বাস্তবিক বস্তুর প্রতিরূপ মুদ্রণ সম্ভব যেমনটা আগের লেজার প্রিন্টারে একটি চালান প্রিন্ট করা হত।
বর্তমানে ===============
দেশের বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের হিলেট প্যাকার্ডের (এইচপি) ইঙ্কট্যাংক সিরিজের ৪১৫ মডেলের প্রিন্টার নিয়ে এসেছে স্থানীয় পরিবেশক ইউনিক বিজনেস সিস্টেমস। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অফিসের জন্য উপযোগী এই ওয়্যারলেস প্রিন্টারে রয়েছে তারবিহীন প্রিন্ট করার সুবিধা। পাশাপাশি রয়েছে বিশেষভাবে নকশাকরা ইঙ্ক বোতল ফলে সহজেই করা যাবে রিফিল। প্রিন্টারে নতুন বোতল যুক্ত করার আগে এটার মাধ্যমে ৮ হাজার রঙিন ডকুমেন্ট এবং ৬ হাজার কালো প্রিন্ট দেযা যাবে বলে জানানো হয় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে। এইচপি স্মার্ট অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইলের মাধ্যমেই প্রিন্টের নির্দেশ পাঠানো যাবে প্রিন্টারে।
No comments
please don't avoid to do the comments.