বৃত্ত কাকে বলে চিত্র সহ তা ব্যাখ্যা
এই টিউটোরিয়ালটি শেষে
বৃত্ত কাকে বলে চিত্র সহ তা ব্যাখ্যা করতে পারা যাবে।
বৃত্তের পরিধি ব্যাখ্যা করতে পারা যাবে।
বৃত্তের ক্ষেত্রফল ও বৃত্ত কলার ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সূত্র উদ্ভাবন করতে পারা যাবে।
বৃত্তের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করতে পারা যাবে।
বৃত্তের বিভিন্ন অংশ পরিচিতি ও তাদের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক ব্যাখ্যা করতে পারা যাবে।
বৃত্তের বিভিন্ন অংশ পরিচিতি ও তাদের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক ব্যাখ্যা করতে পারা যাবে।
১.বৃত্ত
২.বৃত্তের কেন্দ্র কাকে বলে
৩.বৃত্তের ব্যাসার্ধ কাকে বলে
৪.ব্যাস কাকে বলে
৫.বৃত্তের ক্ষেত্রফল
৬.বৃত্তের জ্যা
৭.বৃত্তের স্পর্শক
৮.বৃত্তের পরিধি কাকে বলে
৯.ছেদক রেখা
১০.বৃত্তচাপ কাকে বলে
১১.বৃত্তচাপ
১২.বৃত্তাংশ
১৩.বৃত্তকলা বা বৃত্তীয় ক্ষেত্র
১৫.বৃত্তের বৈশিষ্ট্য
১.বৃত্ত
যে নির্দিষ্ট বিন্দু থেকে বৃত্তের পরিধির উপর সকল বিন্দুর দুরত্ব সমান, ঐ নির্দিষ্ট বিন্দুকে বৃত্তের কেন্দ্র বলে।
২.বৃত্তের ব্যাসার্ধ কাকে বলে
বৃত্তের কেন্দ্র থেকে পরিধির উপর যে কোন বিন্দুর দুরত্বকে বৃত্তের ব্যাসার্ধ বলে। অন্যভাবে বললে, বৃত্তের কেন্দ্র ও পরিধির উপর যে কোন বিন্দুর সংযোজক রেখাংশের দৈর্ঘ্যকে বৃত্তের ব্যাসার্ধ বলে।
৩.ব্যাস কাকে বলে
বৃত্তের কেন্দ্র দিয়ে অতিক্রমকারী রেখাংশের প্রান্তবিন্দুদ্বয় বৃত্তের পরিধির উপর অবস্থিত হলে, ঐ রেখাংশকে বৃত্তের ব্যাস বলে। বৃত্তের ব্যাস বৃত্তের ব্যাসার্ধর দ্বিগুণ। বৃত্তের কেন্দ্র বৃত্তের ব্যাসের মধ্যবিন্দু। আবার বৃত্তের ব্যাস বৃত্তের একটি জ্যা বটে। তবে এটি একটি বিশেষ জ্যা। বৃত্তের ব্যাস বা এই বিশেষ জ্যা বৃত্তের কেন্দ্র দিয়ে যায়। বৃত্তের ব্যাসই বৃহত্তম জ্যা।
৪.বৃত্তের ক্ষেত্রফল
বৃত্তের ব্যাসার্ধের বর্গকে
৫.বৃত্তের জ্যা
বৃত্তের পরিধির উপর যে কোন দুইটি বিন্দুর সংযোজক রেখাংশকে বৃত্তের জ্যা বলে। এরূপ দুইটি বিন্দু যোগ করে অসংখ্য রেখাংশ অঙ্কণ করা যায়। তাই একটি বৃত্তের অসংখ্য জ্যা থাকতে পারে।
৬.বৃত্তের স্পর্শক
বৃত্তের একটি অনন্য বিন্দুতে স্পর্শকারী, ব্যাসের উপর লম্ব সরলরেখাকে বৃত্তের স্পর্শক বলে। অতএব, বৃত্তের স্পর্শক বৃত্তের একটি একক বিন্দুতে স্পর্শ করে। স্পর্শক সবসময়ই বৃত্তের ব্যাস বা ব্যাসার্ধর উপর লম্ব এবং বৃত্তের পরিধির উপর একটি মাত্র বিন্দু দিয়ে অতিক্রম করে।
৭.বৃত্তের পরিধি কাকে বলে
বৃত্তের সীমান্ত বরাবর দৈর্ঘ্যকে বৃত্তের পরিধি বলে। অতএব বৃত্তের পরিধি হলো বৃত্তের পরিসীমা। বৃত্তের ব্যাস বা ব্যাসার্ধ জানা থাকলে পরিধি নির্ণয় করা যায়। বৃত্তের ব্যাসকে দ্বারা গুণ করলে গুণ করলে পরিধি পাওয়া যায়। একটি বৃত্তের ব্যাসার্ধ একক হলে এর পরিধি
৮.ছেদক রেখা
যে সরলরেখা বুত্তকে দুইটি বিন্দুতে ছেদ করে তাকে বৃত্তের ছেদক রেখা বলে। অতএব, একটি জ্যা কে উভয়দিকে সীমাহীনভাবে বর্ধিত করলে ছেদক রেখা উৎপন্ন হয় যা বৃত্তকে দুইটি বিন্দুতে ছেদ করে।
৯.বৃত্তচাপ কাকে বলে
বৃত্তের পরিধির যে কোন অংশকে বৃত্ত চাপ বলে। বৃত্ত চাপের প্রান্তবিন্দুদ্বয় যদি কোন রেখাংশের প্রান্তবিন্দুদ্বয় হয়, তাহলে ঐ রেখাংশকে বৃত্তের জ্যা বলে।
১০.অর্ধ বৃত্তচাপ
যে বৃত্তচাপের দৈর্ঘ্য পরিধির অর্ধেক তাকে অর্ধ বৃত্তচাপ বলে।
বৃত্তাংশ
বৃত্তের একটি জ্যা ও একটি চাপ দ্বারা গঠিত অঞ্চলকে বৃত্তাংশ বলে।
১১.বৃত্তকলা বা বৃত্তীয় ক্ষেত্র
বৃত্তের দুইটি ব্যাসার্ধ ও একটি চাপ দ্বারা গঠিত অঞ্চলকে বৃত্তকলা বা বৃত্তীয় ক্ষেত্র বলে।
সর্বশেষ সম্পাদিত ও পরিমার্জিতঃ 09/12/2018
কিছু লিখা সংগ্রহ করা
No comments
please don't avoid to do the comments.