বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স প্রশ্ন এবং উত্তর ।

বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স প্রশ্ন এবং উত্তর ।


➤সেমিকন্ডাক্টর কি?
➤পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর কি?
➤এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর কি?
➤সেমিকন্ডাক্টরে ডুপিং কি?
➤হোল কি?
➤মেজরিটি চার্জ ক্যারিয়ার কি?
➤মাইনরিটি চার্জ ক্যারিয়ার কি?
➤পি-এন জাংশন কি?
➤বায়াসিং কি?
➤ফরওয়ার্ড বায়াসিং কি?
➤রিভার্স বায়াসিং কি?
➤পিক ইনভারস ভোল্টেজ (PIV) কি?
➤রেক্টিফায়ার কি?
➤রিপল ফ্যাক্টর কি?
➧সেমিকন্ডাক্টরঃ ইহা এমন একটি পদার্থ যার কন্ডাক্টিভিটি কন্ডাক্টর এর চেয়ে কম ও ইন্সুলেটর এর চেয়ে বেশি। ইহার বাহিরের অরবিটে ভ্যালেন্স ইলেকট্রনের সংখ্যা কন্ডাক্টর ও ইন্সুলেটর এর মাঝমাঝি। সিলিকন, জার্মেনিয়াম, সেমিকন্ডাক্টর পদার্থ।
➧পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরঃ কোন খাটি সেমিকন্ডাক্টরের সাথে ভেজাল হিসেবে সামান্য পরিমাণ ত্রিযোজি মৌল মিশ্রিত করা হয় অথবা যে সব সেমিকন্ডাক্টরে হোলের সংখ্যা ইলেকট্রনের সংখ্যার চেয়ে বেশি থাকে তাকে পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বলে।
➧এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরঃ কোন খাটি সেমিকন্ডাক্টরের সাথে ভেজাল হিসেবে সামান্য পরিমাণ পঞ্চযোজী মৌল মিশ্রিত করা হয় অথবা যে সেমিকন্ডাক্টরে হোলের সংখ্যা ইলেকট্রনের সংখ্যার চেয়ে কম থাকে তাকে এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বলে।
➧সেমিকন্ডাক্টরে ডুপিং কি?
যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খাটি সেমিকন্ডাক্টরের মধ্যে ভেজাল মিশ্রিত করা হয় তাকে ডুপিং বলে। ডুপিং এর মাধ্যমে সেমিকন্ডাক্টরে হোল বা ফ্রি ইলেকট্রন উৎপন্ন করা হয় এবং সেমিকন্ডাক্টরে কারেন্ট প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
➧হোল কি?
কোন বিশুদ্ধ সেমিকন্ডাক্টরে যদি একটি ত্রিযোজী মৌল মিশানো হয়, তবে চারটি ইলেকট্রনের সাথে তা সমযোজী বন্ধন তৈরি করতে একটি ইলেকট্রনের ঘাটতি থাকে। এই ঘাটতি অংশই হোল।
➧মেজরিটি চার্জ ক্যারিয়ার কি?
কোন খাঁটি সেমিকন্ডাক্টরে ডুপিং এর সাহায্যে যে ভেজাল সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করা হয় তার মধ্যে ফ্রি ইলেকট্রন বা হোল এর মধ্যে যেটির পরিমান অধিক থাকে তাকে মেজরিটি চার্জ ক্যারিয়ার বলে।
➧মাইনরিটি চার্জ ক্যারিয়ার কি?
কোন খাঁটি সেমিকন্ডাক্টরে ডুপিং এর সাহায্যে যে ভেজাল সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করা হয় তার মধ্যে ফ্রি ইলেকট্রন বা হোল এর মধ্যে যেটির পরিমান কম থাকে তাকে মাইনরিটি চার্জ ক্যারিয়ার বলে।
এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরে ফ্রি ইলেকট্রন এবং পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরে হোল হল মেজরিটি চার্জ ক্যারিয়ার। এর উল্টা হবে মাইনরিটি চার্জ ক্যারিয়ার।
➧পি-এন জাংশন কি?
একটি পি-টাইপ এবং একটি এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর একত্রে সংযোগ করলে যে জাংশন তৈরি হয় তাকে পি-এন জাংশন বলে।
➧বায়াসিং কি?
যে ব্যবস্থার মাধ্যমে ট্রানজিস্টর বা ডায়োড সার্কিটে আউটপুট ইম্পিড্যান্স ও ইনপুট ইম্পিড্যান্স এর মাঝে তারতম্য ঘটানো হয় তাকে বায়াসিং বলে। বা ট্রানজিস্টর বা ডায়োড সার্কিটে ভোল্টেজ সাপ্লাই দেবার পদ্ধতিকে বায়াসিং বলে। দুই ভাবে বায়াসিং করা যায়-
১) ফরওয়ার্ড বায়াসিং ২) রিভার্স বায়াসিং।
১) ফরওয়ার্ড বায়াসিংঃ পি-এন জাংশনে যে ভোল্টেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে যদি পটেনশিয়াল বেরিয়ারকে অতিক্রম করে জাংশনে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় তাকে ফরওয়ার্ড বায়াসিং বলে। ব্যাটারির পজিটিভ প্রান্ত পি স্তরে ও ব্যাটারির নেগেটিভ প্রান্ত এন স্তরে সংযোগ করলে একে ফরওয়ার্ড বায়াসিং সংযোগ বলে।
২) রিভার্স বায়াসিংঃ পি-এন জাংশনে যে ভোল্টেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে যদি পটেনশিয়াল বেরিয়ার বেড়ে গিয়ে জাংশনে বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় তাকে রিভার্স বায়াসিং বলে। ব্যাটারির পজিটিভ প্রান্ত এন স্তরে ও ব্যাটারির নেগেটিভ প্রান্ত পি স্তরে সংযোগ করলে একে রিভার্স বায়াসিং সংযোগ বলে।
➧পিক ইনভারস ভোল্টেজ (PIV) কি?
ইহা ডায়োডের সর্বোচ্চ রিভার্স ভোল্টেজ যাতে ডায়োডটি নষ্ট না হয়ে কাজ করতে পারে। ডায়োডের আড়াআড়িতে রিভার্স ভোল্টেজ পিক ইনভারস ভোল্টেজ এর চেয়ে বেশি হলে অতিরিক্ত তাপমাত্রায় ডায়োডটি নষ্ট হয়ে যায়।
➧রেক্টিফায়ার কি?
যে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের সাহায্যে পরিবর্তনশীল কারেন্টকে (A/C) একমুখী কারন্টে (D/C) রূপান্তরিত করা হয় তাকে রেক্টফায়ার বলে।
➧রিপল ফ্যাক্টর কি?
রেক্টফায়ার এর আউটপুটে পালসেটিং DC এর AC কম্পোনেন্ট এর আেএমএস (rms) মান এবং DC কম্পোনেন্ট এর মানের অনুপাত একটি ধ্রুব সংখ্যা। এই ধ্রুব সংখাটিকে রিপল ফ্যাক্টর বলে। রিপল ফ্যক্টরের মান যত কম হয় রেক্টফায়ার এর DC আউটপুট তত ভালো মানের হয়।
হাফ ওয়েভ রেক্টফায়ার এর রিপল ফ্যাক্টরঃ 1.21, হাফ ওয়েভ রেক্টফায়ার এর দক্ষতাঃ ৪০.৬%
ফুল ওয়েভ রেক্টফায়ার এর রিপল ফ্যাক্টরঃ ০.৪৮%, ফুল ওয়েভ রেক্টফায়ার এর দক্ষতাঃ ৮১.২%

No comments

please don't avoid to do the comments.

Powered by Blogger.