কোথাই কার্শফের সূত্র ব্যাবহার করা হয়?
কোথাই কার্শফের সূত্র ব্যাবহার করা হয়?
মিম উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের (বিজ্ঞান বিভাগ) ছাত্রী। একদিন ক্লাসে পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক বোর্ডে একটি জটিল সার্কিট(বর্তনী) এঁকে এর বিভিন্ন বিন্দুতে তড়িৎ প্রবাহ এবং বিভব নির্ণয় করতে বললেন। মিম ও’মের সূত্র প্রয়োগ করে সার্কিটটি সমাধান করার চেষ্টা করল কিন্তু পারল না। পরে শিক্ষকের কাছে থেকে সে জানতে পারলো ও’মের সূত্র প্রয়োগ করে সরল বর্তনীতে বিদ্যুৎ প্রবাহ, রোধ নির্ণয় করা যায় না, কিন্তু বর্তনী জটিল হলে অর্থাৎ বর্তনীতে একাধিক তড়িচ্চালক শক্তির উৎস বর্তমান থাকলে, ও’মের সূত্র প্রয়োগ বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। এ কারণে জটিল বর্তনীর তড়িৎ প্রবাহ, রোধ, বিভব পার্থক্য ইত্যাদি নির্ণয়ের জন্য কার্শফের সূত্র ব্যবহার করা হয়।১৮৪২ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী কার্শফ জটিল বর্তনীতে ব্যবহারের জন্য দুটি সূত্র প্রদান করেন। প্রথম সূত্রটি আধানের সংরক্ষণ সূত্র এবং দ্বিতীয় সূত্রটি শক্তির সংরক্ষণ সূত্রের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত
১. সূত্র
কোনো বৈদ্যুতিক বর্তনীর কোনো সংযোগ বিন্দু বা জংশনে (Junction) মিলিত তড়িৎ প্রবাহসমূহের বীজগাণিতিক যোগফল শূন্য। একে জংশন উপপাদ্য বলে।
![]() |
kcl law |
২. সূত্র
কোনো বদ্ধ তড়িৎ বর্তনীতে তড়িৎ পরিবহনের সময় যে সব বিভব পরিবর্তনের সম্মুখীন হয় তাদের বীজগাণিতিক যোগফল শূন্য। একে লুপ উপপাদ্য বলে।
![]() |
kvl law |
No comments
please don't avoid to do the comments.